অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চলতি বছর খাদ্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুত আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৯ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আছে সরকারি মজুতে, যা আগে কোনোদিন ছিল না।’ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধান সংগ্রহ এখনও চলছে। মাসে এক লাখ মেট্রিক টন করে ওএমএস দিচ্ছি। কাজেই শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। যা আমি আগেই বলেছি। আল্লাহ নিজ হাতে গজব না দিলে দেশে কোনও দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সংকট হবে না।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা ৩০ শতাংশ ভোজ্যতেল সরিষা থেকেই পাবো। এরপর বোরো হবে। সেই ফলনও ভালো হবে। আগে যেখানে বিঘাপ্রতি আমন হতো ১৫ থেকে ১৬ মণ, এবার হচ্ছে ২৫ মণ। তাই শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে বাংলাদেশকেও বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া দরিদ্র-অতি দরিদ্রদের জন্য চাল সহনীয় রাখতে ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ চালু রেখেছি।’
খাদ্যে অপচয় বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘বিয়েবাড়িতে দেখা যায় ১০ থেকে ৫০ শতাংশ খাদ্য অপচয় হয়। এসব অপচয় রোধ করতে হবে।’
চলতি বছর বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সতর্কতার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বাড়লে আপনারা তা নিয়ে কথা বলেন, কমলে বলেন না। একটি পত্রিকা প্রথম পাতায় লিখেছে, চালের দামে অস্থিতিশীল, আবার ছয় নম্বর পাতায় দেখলাম লিখেছে, কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। তাহলে আমরা যাবো কোনদিকে? এ ক্ষেত্রে এটির একটি ভারসাম্য দরকার। কৃষকদের বাঁচতে হবে। আবার ভোক্তা পর্যায়ে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকতে হবে। আমরা ২ হাজার ১৯ জন ডিলারের মাধ্যমে ওএমএস চালু করেছি। যা সারা বছর চলছে। আগে তিন মাস চলতো।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে খাদ্যবান্ধব চাল দিচ্ছি। ২৪ টাকা কেজিতে আটা দিচ্ছি। আমরা ভেবেছিলাম আমনের আগে খরা হবে, কিন্তু এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। সংগ্রহ ভালো হয়েছে। দেশে এখন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুত আছে। প্রায় ১৯ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সরকারিভাবে মজুত আছে, যা আগে কোনোদিন ছিল না।’
Leave a Reply